❌ রাতে মশারী টানিয়ে ঘুমাই, তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হবার কোন সম্ভাবনা নেই। ভুল।
✅ ডেঙ্গুভাইরাসবাহী এডিস মশা সাধারণত সন্ধ্যায় এবং ভোরে সবচেয়ে বেশি কামড়ায়।
❌ পূর্বে আমার ডেঙ্গুজ্বর হয়েছিল কিন্তু মোটেও ক্ষতি করতে পারেনি। সুতরাং ডেঙ্গু আমার কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
✅ ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪ টি ধরণ বা serotype আছে যার সবকয়টি বাংলাদেশে সক্রিয়। পূর্বে একটি serotype দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকলে শুধুমাত্র সেই নির্দিষ্ট serotype-এর বিপরীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়। তবে পরবর্তী সময় ভিন্ন সেরোটাইপ দ্বারা আক্রান্ত হলে Antibody Dependent Enhancement এর কারণে মারাত্মক জটিলতা হবার ঝুঁকি কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সুতরাং পূর্বে ডেঙ্গুজ্বরে কোন ক্ষতি না হলেও পুনরায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত ব্যাক্তি অধিক ঝুঁকিতে থাকবেন।
❌ ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে ৬ দিন পূর্বে গ্রামে এসেছি। এখন জ্বর হলে এটা ডেঙ্গু হবার সম্ভাবনা নেই। ভুল।
✅ ডেঙ্গু জ্বরের incubation period সাধারণত ২-৭ দিন, অর্থাৎ এডিস মশা কামড়ানোর ৭ম দিনেও ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে।
❌ ডেঙ্গুজ্বরের লক্ষণ আছে, তবে ডেঙ্গু NS1 টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। সুতরাং এই জ্বর ডেঙ্গু হবার সম্ভাবনা নেই। সঠিক নয়।
✅ লক্ষণ শুরু হবার পর সাধারণত ৫-৭ দিন পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্তে Dengue NS1 শনাক্ত করা যায়। তবে প্রথম ১-৩ দিনের মধ্যে এই এন্টিজেন শনাক্তকরণের হার সবচেয়ে বেশি।
প্রথম ৭ দিনের মধ্যে NS1এবং Dengue IgM antibody টেস্টের মাধ্যমে ডেঙ্গু নিশ্চিৎ করা যায়, তবে দুইটাই নেগেটিভ আসলে চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক পুনরায় IgM পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।
❌ শুধুমাত্র Platelet-এর পরিমাণ মনিটরিং এর মাধ্যমেই ডেঙ্গুর তীব্রতা বোঝা যাবে। এটি ভুল।
✅ Dengue জ্বরের মারাত্মক আরেকটি জটিলতা হল Dengue shock Syndrome যেখানে plasma leakage এর কারণে রক্তের পানির পরিমাণ কমে গিয়ে আক্রান্ত ব্যাক্তি শকে চলে যায়। এক্ষেত্রে রক্তচাপ মনিটরিং করা আরও বেশি জরুরি।
❌ ডেঙ্গুজ্বরে Platelet নামক রক্তকণিকা কমে গেছে, অন্য কোন অসুবিধা না থাকলেও এই রিপোর্ট নিয়ে তীব্র দুশ্চিন্তায় আছেন। ভুল।
✅ জটিলতা না হলেও ডেঙ্গুজ্বরে অধিকাংশ ক্ষেত্রে platelet নামক রক্তকণিকা মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রায় কমতে পারে।
প্লেটলেট আশঙ্কাজনকভাবে না কমেও ডেঙ্গুর জটিলতা হতে পারে আবার এই রক্তকণিকা আশঙ্কাজনকভাবে কমেও ডেঙ্গুর জটিলতা হতে পারে।
❌ ডেঙ্গুজ্বরে তীব্র ব্যাথা কমানোর জন্য ফার্মাসি থেকে ব্যাথার ঔষধ কিনে খেয়ে ফেলি যেটি সম্পূর্ণ ভুল।
✅প্যারাসিটামল ব্যাতিত অন্য ব্যাথার ঔষধ (NSAID) ডেঙ্গু জ্বরে নিষিদ্ধ, কারণ এটি Dengue Hemorrhagic Fever এর মত মারাত্মক জটিলতাকে ত্বরান্বিত করতে পারে।
❌ জ্বর কমের দিকে, তাই এখন সম্পূর্ণ আশঙ্কামুক্ত।
ভুল।
✅ ডেঙ্গুজ্বর ৪র্থ বা ৫ম দিনের মাথায় কমে গিয়ে পুনরায় বাড়তে পারে। অপরদিকে ৩য় থেকে ৭ম দিনকে ডেঙ্গুজ্বরের ক্রিটিক্যাল ফেইজ বলে। তাই জ্বর কমের দিকে গেলেও ডেঙ্গুর ওয়ার্নিং সাইন সম্পর্কে সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
ধন্যবাদ
©Dr. A. N. RAKIB
Healthy Horizons Bangladesh
Comments
Post a Comment