আপনি কি দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত? মানসিকচাপ কমানোর জন্যে কি করবেন? পরীক্ষার্থীগণ কিভাবে মানসিক দুঃশ্চিন্তা কমাবেন?
মনে রাখা জরুরী যে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ স্ট্রেস আমাদের দায়িত্ববোধ, কেয়ারিং মনোভাব এবং কর্মদক্ষতায় সহায়ক। তবে মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হলে সেটি আমাদের শরীর ও মনে বিরুপ প্রভাব ফেলে।
মাত্রা ছাড়ানো দুশ্চিন্তা হলে কি লক্ষণ প্রকাশ পাবে?
→অবসাদ ও দূর্বলতা।
→জিহবা শুকনো থাকা, খাবার গিলতে অস্বস্তি।
→নেতিবাচক কিছু একটা হবে এমন ভয় মনের মধ্যে কাজ করা।
→ঘুমে ব্যাঘাত, দুঃস্বপ্ন দেখা।
→তিরিক্ষি মেজাজ।
→ঘাড় ও মাথা ব্যাথা।
→হার্টবিট ও শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া।
→শরীর কাঁপা, শরীর ঘামানো, পাতলা পায়খানা হওয়া।
দুঃশ্চিন্তায় কি ক্ষতি হয়?
অতিরিক্ত দুঃশ্চিন্তা কর্মক্ষমতা হ্রাস করে এবং
সামাজিক সম্পর্কে বিরুপ প্রভাব ফেলে যার কারনে আপনি হতাশাগ্রস্ত হতে পারেন।
দীর্ঘ সময় দুঃশ্চিন্তায় ভুগলে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
কিভাবে দুঃশ্চিন্তা কমাবেন?
স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল অনুসরণ করুনঃ
→ সোশাল মিডিয়া/ মোবাইল স্ক্রিনের সময় বেঁধে দিন। যেমন- ২৪ ঘন্টার মধ্যে সর্বমোট ১ ঘন্টা। বাকি সময় সকল ডিজিটাল ডিস্ট্রাকশন/ নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন।
→সুষম খাবার খান, পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, বই পড়ুন।
→প্রতিদিন বিনোদন ও ব্যায়ামের জন্য সময় নির্দিষ্ট রাখুন।
→কাছের মানুষদের সাথে সময় কাটান, মন খুলে কথা বলুন।
→ক্যাটস (CATS) হতে দূরে থাকুন! চা অথবা Coffee প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩ কাপ খেতে পারবেন। অন্যদিকে Alcohol, Tobacco(তামাক), Social drugs হতে একশ হাত দূরে থাকুন।
→মনকে প্রশান্ত রাখুন।
মানসিক প্রশান্তির জন্য Tips:
→দ্রুত ঘুমান, ভোরে ঘুম থেকে উঠুন।
→দিনে ঘুমাবেন না। বিকেলে ২০ থেকে ৩০ মিনিটের শর্ট ন্যাপ নিবেন।
→ধর্মীয় উপাসনা করুন।
→প্রতিদিন কমপক্ষে ১০ মিনিট করে ভোরে এবং রাতে ঘুমানোর আগে:
• কোলাহলমূক্ত কক্ষের মেঝেতে চোখ বন্ধ করে মেরুদণ্ড সোজা রেখে বসুন। কপাল থেকে শুরু করে পায়ের পাতা পর্যন্ত ধীরে ধীরে একটি একটি করে শরীরের প্রতিটি মাংসপেশীকে যতটা সম্ভব রিলাক্স করছেন এমনটা অনুভব করুন ৩ মিনিট।
• আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের দিকে মনোযোগ দিন। নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন এবং আপনার নিশ্বাসের শব্দ শুনুন ৪ মিনিট।
• প্রশান্তি/ শান্তি অথবা রিল্যাক্স এই শব্দটা মনে মনে বলুন এবং অনুভব করুন ৩ মিনিট।
উপর্যুক্ত লাইফস্টাইল পরিবর্তনের পরেও আপনার দুঃশ্চিন্তা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই একজন মানসিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ধন্যবাদ।
Written by Dr. A N RAKIB
Comments
Post a Comment